অবশেষে সুখবর পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জামিজ প্রাপ্তির একদিন পর তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাই তুলে নেয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আর কোন বাঁধা থাকলো না ইমরানের।
গত ২০ আগস্ট একটি জনসভায় জেবা চৌধুরী নামে এক নারী বিচারককে হুমকি দেন। নিজ দলের নেতা শাহবাজ গিলকে আটক ও রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে জেবা ও আরও দুইজন পুলিশ সদস্যকে ‘দেখে নেওয়ার’ কথা বলেছিলেন ইমরান।
সেই হুমকির পরেই ইমরান খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়। মামলায় প্রথম দফায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কথাও তুলে ধরা হয়। পরবর্তীতে ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দেয়া হয়। এবার সোমবার সেই পুরো মামলা তুলে নিয়েছে ইসলামাবাদ আদালত।
অবশ্য গত মাসের শেষেই আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ইমরান খান। ওই সময় তিনি জানান, নিজে জেবা চৌধুরীর কাছে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আসবেন।
আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও জেবা চৌধুরীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় মামলাটি তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমরান খানের আইনজীবী।
এদিকে এই মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ায় এখন নির্বাচন করতে আপাতত কোনো বাধা রইল না ইমরান খানের সামনে।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী যদি কোনো রাজনীতিবীদকে আদালত অবমাননার জন্য দণ্ড প্রধান করা হয় তাহলে সেই রাজনীতিবীদ আগামী পাঁচ বছর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।