ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশে দিন দিন বাড়ছে নানান অনিয়ম। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
সারেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা কিংবা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও সেগুলো অবাধে চলছে। যাত্রী ও মালামাল বোঝাই করে এসব যানবাহন দ্রুত গতিতে ছুটেছে, হঠাৎ যত্রতত্র থামছে, আবার উল্টোপথে চলাচল করছে। একইভাবে যাত্রীবাহী বাসও নির্দিষ্ট স্টপ মানছে না, যেখানে-সেখানে যাত্রী উঠানামা করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এছাড়া মহাসড়কে অবাধে চলছে বালুভর্তি ট্রাক। নিয়মমতো ত্রিপাল না টানায় বাতাসে বালু উড়ে পথচারীদের চোখে পড়ছে, আবার সড়কে পড়ে হয়ে যাচ্ছে পিচ্ছিল। বিশেষ করে বারইয়ারহাট পৌরসভার ইউ-টার্ন এলাকায় রাখা বিশাল বালুর স্তূপ থেকে মহাসড়কে ছড়িয়ে পড়ছে, যা বড় ধরনের দূর্ঘটনার ঝঁকি তৈরি করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক পথচারী বলেন, বারইয়ারহাট এলাকায় রাখা বালুর কারণে রাস্তায় বালু ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি উল্টোপথে গাড়ি চলাচল এখন নিত্যদিনের ঘটনা।
নিজামপুর কলেজ শিক্ষার্থী মাঈন উদ্দিন বলেন, বাস চালকরা নিয়মকানুন মানেন না।যাত্রী তোলার প্রতিযোগীতায় সিগন্যাল লাইট ব্যবহার না করায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অন্যরা।
নিয়মিত যাতায়াতকারী সৈয়দ আলিম উদ্দিন বলেন, সড়কে সিএনজি আর অটোরিকশা নিজেদের রাজা মনে করে। পুলিশের সামনেও এরা দাপট দেখায়।
বাইকচালক মাসুদ রানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের জন্য মহাসড়ক এখন আতঙ্কের জায়গা। সড়কে পড়ে থাকা বালুগুরো বাতাসে উড়ে আমাদের চোখে পড়ে। এতে করে মহাসড়কে বাইক চালানো হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহাসড়কের পাশে ১০ মিটারের ভেতর কোন ব্যক্তিগত জিনিস রাখা যাবে না। এসব অবৈধ কিছু উচ্ছেদে প্রশাসন উদ্যেগ নিলে আমরা সঙ্গে থাকি।
তিনি আরও বলেন, অভিযান চালানো হয়েছে,আবারও হবে।
এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপ ও তার ব্যবহৃত নাম্বারে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।