মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান। দুরাবস্থা সামলে নিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিল দেশটি। এ নিয়ে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নবম বারের মতো আলোচনায় বসেছে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার ও তার দল।
যদিও আলোচনা শেষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ মন্তব্য করেছেন, আইএমএফ ঋণ দিতে ‘অভাবনীয়’ শর্ত আরোপ করছে। তবে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডন। এর আগে ঋণের ব্যাপারে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফরে আসে।
পেশোয়ারে এপেক্স কমিটির বৈঠক নিয়ে শেহবাজ শরীফ বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে যে শর্তে আমাদের রাজি হতে হবে সেগুলো অভাবনীয়। আমি বিস্তারিত বলব না। একটি কথাই বলব, আমাদের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অকল্পনীয়’।
আইএমএফের পূর্ববর্তী দেশের সাথে শর্ত বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, ঋণ দিতে পাকিস্তান সরকারকে যেসব শর্ত দিয়েছে তা মেনে নিলে দেশটিতে সবক্ষেত্রে কর বাড়াতে হবে। এছাড়া বাড়াতে হবে জ্বালানির মূল্য। কমবে ভর্তুকি। যদিও আসন্ন নির্বাচনের কথা চিন্তা করে বর্তমান শেহবাজ শরীফের সরকার কর বাড়ানো ও ভর্তুকি কমানোর বিষয়টি বাদ দিতে চাইছিল।
যদিও এসব শর্তে রাজি হওয়া ছাড়া উপায় নেই কোণঠাসা পাকিস্তানকে। দেশটিতে নিত্যপণ্যের দাম প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। দিন দিন কমছে বিদেশি রিজার্ভ। ডলারের বিপরীতে রুপির দরপতন থামছেই না। সাধারণ মানুষ নিজেদের খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছে।