আওয়ামীলীগের দোসররা যেন কোনভাবেই বিএনপির কমিটিতে স্থান নিতে না পারে সে ব্যাপারে নেতা কর্মিদের সজাগ থাকতে বলেছেন, দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৩ আগষ্ট) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ট্যাংকেরপাড় মাঠে সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠান করমসূচির প্র্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন,আওয়ামী দোসররা যেন কোনভাবেই আমাদের কমিটিতে স্থান নিতে না পারে। আমাদের কমিটিতে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, সিএনজি চালক, ডাক্তার, শিক্ষক, সরকারি অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীসহ যে কেউ বিএনপি সদস্য হতে পারবেন। তবে আওয়ামী দোসরদের কেউ হতে পারবেন নাহ।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির কমিটিতে কোন প্রকার চাঁদাবাজ ও ভূমি দখলদারদেরও স্থান হবে না।
এসময় পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায় না। পিয়ার নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষ বোঝে না। এ দেশের মানুষ ব্যক্তি দেখে, আর দলীয় প্রতীকের মার্কা দেখে ভোট দেয়। তাই পিআর নির্বাচন অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।
সবশেষ বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রণীত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল,মোস্তাক মিয়া,আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,আহসান উদ্দিন খান শিপনসহ জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
এদিকে এই কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। ট্যাংকেরপাড় মাঠের চারদিকে ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় শ্লোগান এবং নেতৃবৃন্দের ছবিতে সাজানো হয়। এতে পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
নেতাকর্মীরা বলেন, বিএনপির এ ধরনের সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ কর্মসূচি মানুষকে আবারও সংগঠিত করছে। অনেকদিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এত বড় জমায়েত হওয়ায় তারা আনন্দিত।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির এই কর্মসূচি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সমাবেশে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করে বলেন, এই কর্মসূচি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণার উৎস হয়ে দাড়াবে।