গণ অধিকার পরিষদের নেতারা বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। তারা আরেকটি পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এবার আর তাদের ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেওয়া হবে না।
আজ রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন পরিষদের নেতারা।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার বাস্তবায়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তরুণদের রক্ত ও সংগ্রামের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও, জাতীয় সংসদে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণের সুযোগ কম।’
তিনি বলেন, ‘তরুণদের সামনে এগিয়ে দিতে হবে, দেশকে দুর্নীতি, ঘুষ, গুম, খুন মুক্ত করতে হবে। প্রশাসনকে আজকে দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটচুরির সংবাদ আজকে বিশ্ব গণমাধ্যমে পর্যন্ত আসে। যা আমাদের মাথা নত করে দেয়।’
পরিষদের এই নেতা বলেন, ’ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আবার বিদেশিদের বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছে। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ মানা হবে না। কে ক্ষমতায় আসবে, তা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ।’
পরিষদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, ১৯৭১ সালে খাতা-কলমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা এখনো পায়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলগুলো।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণঅধিকার পরিষদ ক্ষমতায় গেলে সবার আগে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করবো। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠাকেই গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে দেশের মানুষকে গণঅধিকার পরিষদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই।’
স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক তালিকা করতে না পারাকে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মনে করে পরিষদ। সংগঠনটির ভাষ্য, শহীদদের তালিকা না থাকায় গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করা যায়নি। আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের ত্যাগের প্রতি আওয়ামী লীগের কোনো শ্রদ্ধা নেই।
এসময় জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পাঠান আজহার, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফুল্লাহ হায়দার, জিলু খান, ঢাকা জেলার আহ্বায়ক শওকত হোসেন প্রমুখ নেতারা।