বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে তবে দেশের মানুষ তার মতপ্রকাশ করতে পারবে না। এরা থাকলে জনগণ তার ভোটের অধিকার ফিরে পাবে না, তার ভোট দিতে পারবে না। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা শুধু আমার কথা না। এটা প্রত্যেক মানুষের কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনই গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে না।
আজ বুধবার (৩১ মে) ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বিবার্ষিক উদ্বোধনী অধিবেশনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে এখন স্বাধীন সাংবাদিকতা বলতে কিছু নেই। আগে আমরা যারা ভুক্তভোগী ছিলাম তারাই শুধু চিৎকার করতাম। সাংবাদিকরা অনেক ভুক্তভোগী তাদের কিছু লেখা ছাপা হতো, কিছু লেখা ছাপা হতো না। আজকে সমগ্র বিষয়ে কথা স্বীকার করেছে যে- বাংলাদেশের স্বাধীন সাংবাদিকতার কোনো জায়গা নেই।
তিনি বলেন, তখনই আমাদেরকে কষ্ট দেয়, পীড়া দেয় যখন দেখি আপনাদের (সাংবাদিক) কিছু সহযোগী সহকর্মীরা যারা অবহেলায়, অবলীলায় সাংবাদিকদের দমনকে সমর্থন করে। এটা সত্য কথা, প্রতিবাদ না করলে, রুখে না দাঁড়ালে সোচ্চার না হলে, কোনো দাবি আদায় করা যায় না।
মার্কিন ভিসা নীতির প্রসঙ্গ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই আনন্দ পাচ্ছেন। তারা বলছেন, ভিসা নীতিতে তো অংশগ্রহণ নির্বাচনের কথা বলেনি। এটাও অনেকে বলছেন, কি মজা! কি অদ্ভুত যুক্তি! তাদের কি আনন্দ হচ্ছে, তারা বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে কথা বলা হয়নি। অথচ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া আমাদের সংবিধানই গ্রহণযোগ্য হবে না। এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। এদেরকে পরাজিত করতে হবে।
এখন আর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই এমন হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখন ভয় করেও লাভ নেই। অস্তিত্বের কারণে, বাঁচার কারণে এখন আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের সাথে প্রতারণা করে, ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে তাদেরকে পরিচালনা করতে চায়, এনাফ ইজ এনাফ। অনেক হয়েছে। মানুষকে অনেক বোকা বানিয়েছেন।’
৫০-৫২ বছর পর একটা বিস্ময়কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নাকি বেশি রেমিটেন্স আসছে। কিন্তু আমেরিকায় যারা বাস করে তারা কখনোই দেশে এসে লগ্নি করে না। বিনিয়োগ করে না। দরকার হলে তারা এখানকার বাড়িঘর বিক্রি করে দিয়ে যায়। এখন নাকি ফিরে আসছে। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সেইগুলো আবার দেশে রেমিটেন্স করে নিয়ে আসছে তারা।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াত নেতা আব্দুল হালিম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, সাংবাদিক নেতা হাই শিকদার, শাহ নেওয়াজ আলী, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, এম এ আব্দুলাহ ও শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তব্য দেয়ার পূর্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করেন।