আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ একা যুদ্ধ করেনি। এদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের লোকজনই সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে যুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র অথোরিটি আওয়ামী লীগ, তা সঠিক নয়।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন হয়েছিল।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেই শাস্তি পেতে হয়। তারা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের যদি ভোটাধিকার থাকতো, তাহলে তাদের একনায়কতন্ত্র কখনো স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হতো না।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করতে পারে না উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তারা ভোটাধিকার হরণ করেছে। তারা দেশে বিভাজন ও বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আগামীতে অনেক সময় লাগবে কৃত্রিম এ বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে।
তিনি বলেন, অনেকে মাসে ৫ হাজার টাকা আয় করতে পারে না, আবার অনেকেই ৫-৫০ কোটি টাকা আয় করছে। অনেকে আবার ৫০০ কোটি টাকাও আয় করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে- দেশের মালিক হবে মানুষ। তারাই দেশকে পরিবর্তন করবে, সরকারকে পরিবর্তন করবে।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সাবেক এমপি মোহাম্মদ উল্যার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক চুন্নু।
এ সময় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মোহাম্মদ নোমান ও নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মিঠু প্রমুখ।