আওয়ামী লীগ শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি তৈরি করছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপির মিটিং মিছিলে কোনো ধরনের ঝামেলা হয় না। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে প্রতিহত করে ‘শান্তি মিছিলের’ নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আওয়ামী লীগ ঝামেলা তৈরি করতে চায় কেন? আমরা মিটিং-মিছিল করব, আপনারা ইট মারবেন (মঙ্গলবার বাংলা কলেজের সামনে সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে) আর আমরা ছেড়ে দেবো, এটা তো হবে না।
বুধবার (১৯ জুলাই) ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ, এখন খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। আর কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আমার অধিকার আমাকে রক্ষা করতে হবে।
সংবিধানের বাইরে আমরা একচুলও নড়ব না, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আব্বাস বলেন, খুব ভালো কথা কাদের সাহেব। আপনার কথায় স্থির থাকেন। কথা হলো কোন সংবিধান? খায়রুল হকের সংবিধান নাকি বাংলাদেশের সংবিধান। আমরা চাই অখণ্ড সংবিধান, যেটি কাটাছেঁড়া করা হয়নি, সেটির অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব। এছাড়া আপনাদের (আওয়ামী লীগ) তৈরি, খায়রুল হকের তৈরি সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দেশের মানুষ ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করেছি, জেল খাটতে শিখেছি। মৃত্যুবরণ করতে শিখেছি। মিছিল করতে শিখেছি। আর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করব না। এবার অত্যাচারের জবাব দেব। গতকাল আপনারা নোয়াখালীতে আমাদের লোককে হত্যা করেছেন।
সমাবেশ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাতা করব। দেশের মানুষকে বিএনপি আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন আমিনুল হক।
বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও স্বাধীন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা করবে।