আগামী বছর পূর্ণাঙ্গভাবে বড় পরিসরে হজ হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এছাড়া উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে বয়স সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। এর ফলে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিরাও হজ্বে যেতে পারবেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, হজে ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ হজে যেতে পারবেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার সঙ্গে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) নেতারা সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যবিধির কারণে গত বছর সীমিত পরিসরে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় জমায়েত হয়। বাংলাদেশ থেকে ৬৫ বছরের বেশি বয়সি কেউ হজে যেতে পারেননি। এবার সেই বয়স বাধা দূর হচ্ছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি সরকারের সঙ্গে আমাদের যতটুকু আনঅফিসিয়াল কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী এবার হয়তো পূর্ণ হজই হবে। গত বছর আমাদের যেটা হয়েছিল সেটা হয়তো নাও হতে পারে, এবার হয়তো রেশিও হিসেবে আমরা যতটুকু পাওয়ার ততটুকু পাব।
‘আর ৬৫ বছরের বিধিনিষেধের বিষয়টিও এবার নাও থাকতে পারে। আমরা এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তাদের কাছে জানতে পেরেছি। এটা যদি হয়, তাহলে আমাদের সিরিয়াল মেইনটেইন করে সহজে হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, গত বছর ১০ হাজার (৬৫ বছরের বেশি বয়সি) ব্যক্তি হজে যেতে পারেননি। এর মধ্যে ৭ হাজার রিপ্লেস করেছেন তারা সবাই। আর বাকি ৩ হাজার আমরা ইচ্ছামতো যিনি গেছেন তাকে ব্যবস্থা করে দিতে পেরেছি। আগামী বছর এ সিস্টেম চালু হলে কারও কোনো আবদার রক্ষা করার সুযোগ আমাদের থাকবে না। তখন পুরো সিরিয়াল মেইনটেইন করতে হবে। আমাদের জন্য সেটা ভালো।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশিদের হজ পালনের সুযোগ দেয়নি সৌদি সরকার। তবে ২০২২ সালে করোনার প্রকোপ কমে এলে সীমিত সংখ্যক বিদেশিদের হজ পালনে সৌদি যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতি বছর সাধারণত ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ হজ পালনের অনুমতি পান। কিন্তু গত বছর এ সুযোগ পান মাত্র ১০ লাখ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ পান ৫৭ হাজার মুসল্লি।