আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি-রুতুরাজ গায়কোয়াড়রা বাজি ধরেছিলেন মুস্তাফিজের ওপর। আর এরপরের চিত্রটা সবার জানা। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ওভারে ফাফ ডু প্লেসিস এবং রজত পতিদারের জোড়া উইকেট। পরের ওভারে দুই ডেঞ্জারম্যান বিরাট কোহলি এবং ক্যামেরন গ্রিনকে ফিরিয়েছেন সাজঘরে।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে সেই মুস্তাফিজকে নিয়েই কি না আছে সংশয়। কারণ এরইমাঝে দলে যোগ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানা। যিনি এরইমাঝে নিজেকে চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সিতে প্রমাণ করেছেন। ডেথ ওভারেও তিনি দারুণ কার্যকরী।
গত মৌসুমে ১২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন পাথিরানা। সবমিলিয়ে শেষ ৪ ওভারের হিসেব টানলে পাথিরানা ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। মুস্তাফিজের বদলে পাথিরানাকে নেওয়া হলে তাই খুব একটা অন্যায় হবে না চেন্নাইয়ের জন্য।
চেন্নাইয়ের চার বিদেশির মধ্যে ড্যারিল মিচেল এবং রাচিন রবীন্দ্রের জায়গা একেবারেই নিশ্চিত। দুজনে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিং স্তম্ভের বড় ভরসা। বোলিংয়ে আছেন তিনজন। দুই লঙ্কান বোলার মাথিশা পাথিরানা এবং মাহিশ থিকশানা। আর আছেন মুস্তাফিজ। থিকশানা আসরের প্রথম ম্যাচে খুব একটা ভালো করতে পারেননি। তবে তিনি দলের স্পিন বিভাগের মূল কারিগর।
লড়াইটা তাই মূলত মুস্তাফিজ এবং পাথিরানার মাঝে। তবে এক্ষেত্রে মুস্তাফিজ কিছুটা এগিয়ে থাকতেই পারেন। ইনজুরি ফেরত খেলোয়াড়কে দুইদিনের অনুশীলন পর্ব শেষে সরাসরি মাঠে নামানোর সম্ভাবনা কিছুটা কম। সেদিক বিবেচনায় আজ আবার নিজেকে একাদশে দেখতে পারেন দ্য ফিজ।
তারচেয়ে বড় কথা, চেন্নাইয়ের চিপকে মুস্তাফিজের স্লোয়ার এবং কুইক ডেলিভারি বেশ কার্যকর বলে প্রমাণ হয়েছে আগেই। পাথিরানা এলেও তাই আগের চার বিদেশির ওপরেই আস্থা রাখতে পারে চেন্নাই। একদশে থাকবেন রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারিল মিচেল, মাহিশ থিকশানা এবং মুস্তাফিজুর রহমান।