ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি হিসেবে আটক ইসরাইলিদের ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মুক্ত করতে গোষ্ঠীটির হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দেশটির বেসরকারি টেলিভিশন হাবেরতুর্ককে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই আলোচনায় যেন সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের নেতারাও অংশ নিতে পারেন, সেই চেষ্টাও করছেন আমাদের প্রেসিডেন্ট। এক কথায় (জিম্মিদের মুক্ত করতে) আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যতখানি সম্ভব, তার সবই আমরা করব।’
শনিবার ইসরাইলে হামলা চালানোর পর সেখান থেকে অন্তত দেড়শ জন বেসামরিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এই বেসামরিকদের মধ্যে ইসরাইলিদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও রয়েছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে এ প্রসঙ্গে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাজিদ তেব্বৌনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এরদোগানের।
শনিবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত যুদ্ধে উভয়পক্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৩০০ জন এবং আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ হাজারেরও বেশি। নিহত ও আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকজন রয়েছেন।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবরোধ ও বোমাবর্ষণের নিন্দা করে এটিকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
তিনি বলেন, এমনকি যুদ্ধেরও একটি ‘নৈতিকতা’ আছে কিন্তু চলমান সংঘাতে সেটি ‘খুব মারাত্মকভাবে’ লঙ্ঘন করা হয়েছে। মানুষকে তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে বাধা দেওয়া এবং বেসামরিক লোকজনের বাসস্থানে বোমা হামলা করা কোনও যুদ্ধ নয়, এটি গণহত্যা।