রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের ভেজাল প্রসাধনী জব্দ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা আটা ও ময়দার সাথে রঙ মিশ্রিত করে বাজারে বিক্রি করতো।
এ সময় কারখানায় থাকা সাত অসাধু কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— মো. জাহিদ খান ওরফে বাদশা, মো. আরিফ হোসেন, মো. নাজিম উদ্দিন ওরফে বিপ্লব, রবিউল হোসেন ওরফে রবিন, মো. মারুফ হোসেন, মো. জামাল হোসেন ও মো. হারুন।
গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এ অভিযান পরিচালনা করে। মঙ্গলবার ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিবি লালবাগ বিভাগের ডিসি ও সহকারী উপকমিশনারের (এডিসি) নেতৃত্বে অবৈধ মাদক প্রতিরোধ টিম কামরাঙ্গীরচর থানাধীন বালুরমাঠ এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায়।
ডিবি জানায়, সেখানে অবৈধভাবে স্থাপিত ঘরোয়া কারখানায় বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল, ফিনিশড নকল বিদেশি হেয়ার অয়েল, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বডি লোশন, হেয়ার কালার, হেয়ার অয়েল, হেয়ার স্পা, ফেসওয়াশ, বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এবং বার কোড, কিউআর কোডসহ প্রিন্টেড বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনীর বাক্স, টিউব ও বোতল জব্দ করা হয়।
স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত বিভিন্ন আঠা, আটা, ময়দা, পাউডার, কেমিক্যাল, পানি, ভাতের মাড় ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ইত্যাদির সঙ্গে রঙ মিশিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের নামিদামি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের তেল, ফেসওয়াশ, ত্বক ফরসাকারি ক্রিম, লোশন, ক্রিম ও শ্যাম্পু তৈরি করে চকবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন সুপারশপে বিক্রি করে আসছিল চক্রটি। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করতেন চকবাজারের বিভিন্ন পাইকারি দোকানিরা।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।