সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা দাবি করেছেন, তার সময়ে নির্বাচন বিতর্কিত হলেও তাতে কমিশন দায়ী হতে পারে না। এছাড়া নির্বাচনের প্রশ্নে তিনি শপথভঙ্গ করেননি বলেও দাবি করেছেন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে সোমবার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এমন দাবি করেন।
এসময় ‘জনগণের ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় নূরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরে বাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার।
শুনানি চলাকালে বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন মনে করেন কি না? আপনি তো শপথ নিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠু করার।”
নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন হয়ে গেলে ফলাফল ঘোষণা হলে পরের সম্পূর্ণ এখতিয়ার হাই কোর্টের ওপর। হাই কোর্ট অনিয়ম পেলে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। নির্বাচন হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশন সেটা বন্ধ করতে পারে না। এটা আদালতের উপর হস্তক্ষেপ হয়।
সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেম, ”পিপি সাহেব বলেছেন, নির্বাচনে টাকা দেওয়া হয়েছে এগুলোর সুযোগ নাই। নির্বাচন যেটা বিতর্কিত হয়েছে সেটার জন্য কমিশনকে দায়ী করা যায় না।”
এরপর তাকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য ১১টি কারণ আবেদনে তুলে ধরেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর এ নিয়ে শুনানিকালে সাবেক সিইসির কোনো বক্তব্য আছে কি না জানতে চান বিচারক।
পরবর্তীতে আধ ঘণ্টা পক্ষ-বিপক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাবেক সিইসির রিমান্ড বাতিলের আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে এদিন বিকাল ৩টার দিকে নূরুল হুদাকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। রিমান্ড শুনানিকালে ৪টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে এজলাসে তোলা হয়।