বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে। রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা থানার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
আদালতের শুনানিতে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন।
শুনানিকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে তোলা হয়। রাষ্ট্র পক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। পরে তার ৩ দিনের শুনানি মঞ্জুর হয়।
শুনানিতে হাবিবুল আউয়াল আদালতকে বলেন, ‘আমার জীবনে কখনোই অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি৷ আমি স্বীকার করি ডামি নির্বাচন হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তবে এতে কমিশনাররা দায়ী না। আমাদের কোনো উপায় ছিল না।’
আদালতকে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ডামি নির্বাচন শুধু আমার জন্য হয়নি। তবে কমিশন প্রধান হিসেবে সামগ্রিকভাবে কিছুটা ব্যতয় ছিল। বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, দলীয় সরকারের অধীনে প্রতিটা নির্বাচন বিতর্কিত।
তিনি অতীত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, নির্বাচন বিতর্কিত মুক্ত বলুন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালেও কিন্তু মানুষকে পথে আটকে নমিনেশন দিতে দেওয়া হয়নি। শেখ মুজিবের ক্ষমতার যে লোভ, তিনিও নিজেকে সামলাতে পারেননি। সেই সময়ও কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।