জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে তুহিনের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ করেন। শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এ মামলা হয়।
শুনানি চলাকালে এদিন প্রফুল্ল ছিলেন এমপি তুহিন। শুনানির সময় হাসিমুখে গল্প করতে দেখা যায় সাবেক এই এমপিকে। শুনানিতে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে তিনি হাসি দিয়ে মাথা নাড়তে থাকেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী যখন শুনানিতে কথা বলেন, তখন তিনি মুচকি হাসি দিয়ে তার কথা শুনতে থাকেন।
এসময় শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুহিনকে যুব মহিলা লীগ উল্লেখ করলে আদালতে তুহিন বলেন, আমি আওয়ামী লীগ। যুব মহিলা লীগ না।
এদিন আদালতে শুনানিতে সাবেক এমপি তুহিন বিচারককে বলেন, আমার ঔষধ শেষ হয়ে গেছে, ঔষধ প্রয়োজন।
শুনানির সময় তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোরশেদ আলম শাহীন সাবেক এমপি তুহিনের ঔষধ দেখিয়ে আদালতকে বলেন, উনার ঔষধ প্রয়োজন, এগুলো দিতে হবে। এসময় বিচারক বলেন, এখান থেকে ঔষধ দেওয়ার নিয়ম নেই। যথাযথ নিয়মে ঔষধ নেবেন। বাইরে থেকে দেওয়া যাবে না।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুহিনের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। বিভিন্ন মিটিং-মিছিলসহ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণও পাওয়া গেছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য তার পরবর্তী রিমান্ড প্রয়োজন।
পরবর্তীতে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করে।