চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষসহ পাঁচ জনকে তলব করেছে আদালত। আদালত অবমাননার অপরাধে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদেরকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালতের বিচারক মো.তৌফিক আজিজ এই নির্দেশ দেন।
সিডিএ’র চেয়ারম্যান ছাড়াও অন্যান্যরা হলেন- সিডিএ’র সচিব আনোয়ার পাশা, উপসচিব (ভারপ্রাপ্ত সচিব) অমল গুহ, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এবং অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. নাজের।
শ্রম আদালেত আসামি পক্ষের আইনজীবী সুখময় চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমের কারণে সিডিএ উচ্চমান সহকারী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ অপসারণ (টারমিনেশন) অর্থ্যাৎ চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালতে ২০১৪ সালের ১ জুন মামলা দায়ের করেন হাবিবুর রহমান।
গত ২৪ জুলাই অপসারণ আদেশ বাতিল করে রায় দেন আদালত। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে হাবিবুর রহমানের সকল বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান করে স্বপদে ও সবেতনে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন।
গত ২৮ জুলাই রায়ের অনুলিপি সংগ্রহ করে হাবিবুর রহমান সশরীরে সিডিএতে গিয়ে চাকরিতে যোগদানপত্র দাখিল করেন। একই তারিখে যোগদানপত্র যথানিয়মে রেজিস্ট্রি ডাকযোগেও পাঠানো হয়।
গত ৩ আগস্ট পুনরায় যোগদানের জন্য মানবিক আবেদন ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। পাঁচ জনই একে অপরের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল করেননি।
এরপর গত ৩১ আগস্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে ডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ প্রকাশ ডলফিন, সিডিএ’র সচিব আনোয়ার পাশা, সিডিএর উপ সচিব (ভারপ্রাপ্ত সচিব) অমল গুহ, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ও সিডিএর অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রম আদালতে মামলা করেন হাবিবুর রহমান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সুখময় চক্রবর্তী বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।