আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নতুন করে আরও চারজন প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার, দুইজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার, এবং একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের দায়িত্ব অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নতুন নিয়োগ পাওয়া চার প্রসিকিউটর হলেন, মো. আব্দুস সোবহান তরফদার (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার), মো. সহিদুল ইসলাম সরদার (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার), ফারুক আহাম্মদ (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার) ও মো. হাসানুল বান্না (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার)।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে নতুন করে বিচার হচ্ছে জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের। এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম।
গণআন্দোলনের ঘটনায় বিচার পরিচালনার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরসহ চারজন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়। চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, যিনি আগে এই ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন।
এরপর আরও কয়েকজন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ, চারজন নতুন প্রসিকিউটর নিয়োগের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের আইনি কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের আইনি কাজের সহযোগিতার জন্য চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে। তার অংশগ্রহণে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।