বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ার করে বলেছেন, আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। সরকার ভয় পাচ্ছে, এখনও সময় আছে; জনগণের আন্দোলনে বাধা দেবেন না। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সোজা কথায় না হলে ফয়সালা হবে রাজপথে।
তিনি বলেন, ২৮ তারিখ টেকনাফ-তেঁতুলিয়া থেকে লাখ লাখ মানুষ এসে মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা একটা মেসেজ দিয়েছে। সেটা হলো অবিলম্বে গদি ছাড়ো।
তিনি বলেন, সেদিন আমরা ছোট একটা প্রোগ্রাম দিয়েছিলাম। ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান নেব। ওই প্রোগ্রামের কথা শুনে তারা (সরকার) ভয়ে ভীত হয়ে গুন্ডা বাহিনী নিয়ে, হাজার হাজার পুলিশ নিয়ে তারা আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা নিরস্ত্র জনগণের বুকে গুলি চালিয়েছে।
সরকার এত ভীত যে ১ হাজার ২০০ লোককে গ্রেপ্তার করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করেছে। গত ১৫ বছর এমন করে কি আটকাতে পেরেছে? গ্রেপ্তার করে এবার লাভ হবে না। দেশের মানুষ একসঙ্গে জেগে উঠেছে। দাবি একটাই, সরকারের পদত্যাগ। তিনি দাবি করেন, দেশে-বিদেশে তাদের (আওয়ামী লীগ সরকারের) সমর্থন নেই।
বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীদের উপর হামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গয়েশ্বর, যিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাকে মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে। আমানউল্লাহ আমানকে পিটিয়ে আটক করেছে। পরে চিত্রনাট্য সাজিয়েছে সরকার, গল্প তৈরি করেছে, ভিডিও করেছে।
আজকের সমাবেশ থেকে নতুন কোনো কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়নি। সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেছেন, অতীতের মতো হামলা করে মামলা দিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে না। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে রাজনৈতিক কৌশল বদল করে রাজপথে মোকাবিলা করবো। এবার সরকারের পতন ঘটিয়েই ঘরে ফিরব আমরা।
দলটির নেতারা এসময় বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
গত শনিবার ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা নির্যাতন ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা বিএনপি এ জনসমাবেশের আয়োজন করে।
জনসমাবেশে সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।