বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার (১৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালতে মমতাজের জামিন শুনানিকালে তার স্বামী কয়জন ও তাদের নাম জানতে চান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। যদিও এ সময় আইনজীবীকে থামিয়ে দেন বিচারক।
জামিন শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘সংসদে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার বাপের নাম জানতে চান। বলেন তো, আপনার বাপের নাম কী? স্বামী কয়জন? স্বামীর নাম কী?’ এ সময় বিচারক তাকে থামিয়ে দিয়ে মামলার বিষয়ে কথা বলতে বলেন।
পরবর্তীতে আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, ‘মমতাজ মানুষের চরিত্র হনন, বিরোধীদের হেয় করে কাজ করে গেছেন। কিভাবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চান বুঝি না। আইন সেইভ করলেও জনগণ করছে না। তারা বাইরে বের হতে পারেন না। পুলিশ ধরার আগে মানুষ ধরে তাদের পুলিশে দিচ্ছে। তারা এত জনবিরোধী কাজ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এখন জামিন পেলে দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। জামিন নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।