দেশের মাটিতে শেষবার ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবার ওই লজ্জার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। কিন্তু ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে ওই শঙ্কা উড়িয়ে ৭ উইকেটে জিতেছে টাইগাররা।
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ সামনে রেখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে কিছুটা অস্বস্তিতেই দেখা যায় লিটনদের। তবে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। বাংলাদেশের ব্যাট হাতে কখনও ভালো কখনও খারাপ সময় গেছে। কিন্তু
বিগত বছরগুলোতে বোলিং আক্রমণে ধারাবাহিক ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ ওয়ানডেতে ভেতরের বারুদ দেখিয়েছেন শরিফুল-তাসকিনরা। এই বোলিং জুটি টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানদের ১৫ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয়। একে একে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান (১), তিনে নামা রহমত শাহ (০), আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৬) ও পাঁচে নামা মোহাম্মদ নবী (১)।
অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহেদি দলকে ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ২২ রান করতেই তাকে বোল্ড করে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফেরান সাকিব।শরিফুল-তাসকিন আরও একটি করে উইকেট নেন। এর মধ্যেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন টেলেন্ডার আজতমুল্লাহ ওমরজাই।
এদিকে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া নাঈম শেখ এই ম্যাচেই ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হন। আট বল খেলে কোন রান করতে পারেননি তিনি। এরপর নাজমুল শান্তকে (১১) বোল্ড করেন ফারুকি। দলের রান তখন ২৮।
ওপেনার লিটন দাস ও চার পজিশনে নামা সাকিব আল হাসান ওই ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন। তাদের জুটি ৬২ রানে পৌছালে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। তার ব্যাট থেকে ৩৯ বলে পাঁচ চারের শটে ৩৯ রান আসে। পরে ম্যাচ শেষ করে আসেন লিটন ও হৃদয়। ওয়ানডেতে রান খরায় থাকা লিটন ৬০ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন। হৃদয় ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।