ভূমিকম্পের তিন দিন পরেও বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যেই ত্রাণ সামগ্রী বহনকারী পাকিস্তান এবং কাতার থেকে কার্গো বিমানগুলো খোস্ত বিমানবন্দরে পৌঁছে গেছে। তবে এখনো পাহাড়ি উপত্যকার দেশটিতে চলছে শোকের মাতম। আছে তীব্র সংকট।
গত বুধবার ঘটে যাওয়া এই বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকারীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রান সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন বলেও জানান কর্মকর্তারা।
৫.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পে পাকতিকা এবং খোস্ত প্রদেশে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। আহতের সংখ্যাও কম নয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলছে, এখন পর্যন্ত ১১৫০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও শুক্রবারে ভুমিকম্প পরবর্তী ধাক্কায় আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের শিশু সংস্থার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১২১ জন শিশু রয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করার কাজ শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এই ভূমিকম্পে প্রায় ২০০০ লোক আহত হয়েছে।
পাকতিক প্রদেশের লোকেরা খাদ্য, আশ্রয় এবং পানীয় জলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ দুর্বল অবকাঠামোর পাশাপাশি তালেবানের নেতৃত্বে আফগান সরকারের কূটনৈতিক ও আর্থিক বিচ্ছিন্নতার কারণে মানবিক সহায়তা কমে গেছে।
বিশ্বের প্রধান দাতা সংস্থাগুলো বলছে, প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের ফলে আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার ব্যাপারটি তারা পুনর্বিবেচনা করছে। আফগানদের জব্দকৃত সম্পদ ফিরিয়ে দিতে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আর্থিক লেনদেনের অনুমতি দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
তবে আফগানিস্তানের জব্দকৃত অর্থ নিয়ে মুখ না খুললেও নিজস্ব বার্তা প্রচার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, ‘ওয়াশিংটন আফগানিস্তানের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দেওয়া অব্যাহত রাখবে’।