কার্চ প্রণালীর ওপর নির্মিত ক্রিমিয়ার সাথে রাশিয়াকে যুক্ত করা ক্রিমিয়া সেতুতে ইউক্রেনের ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। শনিবার কিয়েভ দুটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালালে প্রতিহত করা হয়।
তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র সময় মতো শনাক্ত করে তা প্রতিহত করে আমাদের আকাশপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ হামলায় আহত বা নিহত হননি কেউ।
এর আগে টেলিগ্রামে রুশপন্থি ক্রিমিয়ার গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ জানান, সেতুর কাছে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে আকাশপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখ করে জানিয়েছে, এ ধরনের হামলা চেষ্টায় নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের জীবন হুমকিতে পড়েছে। অবশ্যই প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘এই বর্বর ঘটনার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।’
এর আগে গত মাসেও সেতুটিতে হামলা হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, ক্রিমিয়া সেতু তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু। ইউক্রেনে আক্রমণে ক্রিমিয়া সেতুটি রাশিয়ার লাইফলাইন হিসেবে কাজ করছে। সুতরাং যেভাবেই হোক এটিকে নিরপেক্ষ করা উচিত।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ইউক্রেনের কাছ থেকে ২০১৪ সালে জোর করে দখলে নেয় পুতিনের বাহিনী। এই দীর্ঘ সেতু দিয়ে রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়ায় সহজেই যাতায়াত করা যায়। ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অনেক দেশ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর ক্রিমিয়াকে যে কোনো মূল্যে কিয়েভের অংশ করে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন জেলেনস্কি। ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর কয়েক বার হামলার শিকার হয়েছে সেতুটি।