আবারও করোনা আক্রান্ত হলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শনিবার করোনা টেস্ট করানোর পর তাঁর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। যদিও এর মাত্র তিন দিন আগে করোনার আইসোলেশন থেকে মুক্তি পান তিনি।
হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল বিবৃতি থেকে জানা যায়, একটি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা পরবর্তী ‘রিবাউন্ড’ এর এক বিরল নমুনা এটি। তবে হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক ডাঃ কেভিন ও’কনর একটি চিঠিতে জানান যে, করোনা ভাইরাসের কোনো উপসর্গ বাইডেনের শরীরে পুনরাবৃত্তি ঘটেনি এবং তিনি এখন বেশ ভালো আছেন’।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাইডেনকে আরো অন্তত ৫ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। সংস্থাটি বলছে যে, বেশিরভাগ বিরাউন্ড কেস খুব বেশি গুরুতর হয়না। বাইডেনের ক্ষেত্রেও এই অবস্থায় গুরুতর কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে ওঠার পর আগামী মঙ্গলবার বাইডেনের মিশিগানে একটি সফরে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে দেশীয় উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন উৎপাদনের প্রচারের জন্য একটি বিল পাসের কথা রয়েছে। কিন্তু সফরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার দুই ঘন্টা পর তাঁর করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এছাড়াও আজ (রবিবার) সকালে বাইডেনের ডেলাওয়ারের উইল্মিংটনের নিজ বাড়িতেও যাওয়ার কথা ছিল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি যখন হোয়াইট হাউসে আইসোলেশনে ছিলেন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন সেখানেই ছিলেন। কিন্তু আবারও আইসোলেশনে ফিরে আসায় উভয় সফরই বাতিল করা হয়েছে।
প্যাক্সলোভিড নামক অ্যান্টি-ভাইরাল দিয়ে ৭৯ বছর বয়সী বাইডেনের করোনা চিকিৎসা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার এবং বুধবার দুইদিনই তাঁর করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তাঁকে আইসোলেশন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এবং হোয়াইট হাউসের ভেতর মাস্ক পরে চলাফেরা করার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে।
আইসোলেশন থেকে ছাড় পাওয়ার মাত্র ৩ দিনের মাথায় আবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় এই ভাইরাসের রিবাউন্ড কেসের সংখ্যালঘুদের একজন হলেন জো বাইডেন।