বুয়েট ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ—হিযবুত তাহরীর, জেএমবি ও ছাত্র শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ছাত্রলীগের এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, ‘দেয়ালে পোস্টার লাগাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ইমেইলে দাওয়াত দিচ্ছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির দেশ বিরোধী মিটিং করছে। তাই বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক। এই নাটক বন্ধ করতে হবে। বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে।’
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা নাকি বুয়েটে অনুপ্রবেশ করেছি। অনুপ্রবেশের রাজনীতি ছাত্রলীগ করে না। আমরা প্রবেশ করি এবং পরিবর্তন করি। একজন নাগরিক হিসেবে শুধু বুয়েট কেন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেও অনেকবার বুয়েটে গিয়েছি। বুয়েটে যেতে হলে কাদের কাছে অনুমতি নেব আমরা? যারা ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চের বিরোধিতা করে তাদের কাছে?
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ইমতিয়াজ রাব্বি যদি একা স্বাধীনতার স্বপক্ষে লড়াই করে আমরা তার পক্ষে লড়াই করবো। সংবিধান সমাবেশের স্বাধীনতা, সংগঠন করা স্বাধীনতা দিয়েছে। যারা সংবিধান বিরোধী সিদ্ধান্ত দিয়েছে তাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই আজকে আমরা শহীদ মিনারে হাজির হয়েছি। আমরা দাবি জানাই, বুয়েটসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট ফিরিয়ে দিয়ে তাকে সসম্মানে বরণ করে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি ছাত্ররাজনীতিতে নেগেটিভ এলিমেন্ট রয়েছে। তবে এটাকে সংস্কার করতে হবে আরও ভালো ছাত্ররাজনীতি দিয়ে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সংবিধান অবমাননা হচ্ছে। যাচ্ছেতাই ক্যাম্পাস কালচার তৈরি ও ক্যাম্পাসে অন্ধকার রাজনীতি চর্চার সুযোগ করা হচ্ছে।
আমরা চাই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট ছাত্ররাজনীতি উপহার দেবে। আপনারা আসুন, ছাত্ররাজনীতির স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করুন। আমরা ছাত্রলীগ গণতান্ত্রিকভাবে তা অনুসরণ করবো।