সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

আমাদের কোনো আচরণে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন: জামায়াতের আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক
-বিজ্ঞাপণ-spot_img

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দল হিসেবে দাবি করি না, আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। প্রতিটি কর্মী বা দলের কারণে যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সবার কাছে বিনা শর্তে মাফ চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরম্যান্সে কষ্ট পেয়ে থাকলেও ক্ষমা করে দেবেন।’

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির এ কথাগুলো বলেন। 

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।

শফিকুর রহমান বলেন, এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, সত্যকে চেপে রাখা যায় না, সত্য মেঘের আড়াল ভেদ করে আলোর ঝলক নিয়ে আসে।

জামায়াতের আমির বলেন, জাতির অনেকগুলো বার্নিং ইস্যু এখনো আনরিসলভড। এখানেও সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন জনগণের স্বার্থকে যেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায়, দেশবাসীর সমর্থন পেয়ে দেশের সেবা করার দায়িত্ব পেলে প্রতিশোধের রাজনীতি ও বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাব। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে আমরা ভয়ংকর জুলুমের শিকার হয়েছি। আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজানো, পাতানো আদালত এবং মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে কার্যত জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।’ এ টি এম আজহারের রায় সুবিচার হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে সীমাহীন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তাঁর বইয়ে এটা স্বীকার করেছেন, কীভাবে বিচার বিভাগ ও সরকার মিলে বিচার নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় খুন করার ছক আঁকা হয়েছে। একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যেন কেউ প্রতিবাদ করতে না পারেন।

তিনি আবারও বলেন, এই মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমারি ল’ কিংবা ‘ডমেস্টিক কাস্টমারি ল’ অনুসরণ করা হয়নি। সেদিন সংবিধান বা আইন কোনো বিষয় ছিল না। যাঁদের ইশারায় কোর্ট পরিচালনা হতো, তাঁদের ইচ্ছাই এখানে মুখ্য ছিল। সেটি বৈধ হোক কিংবা অবৈধ।

জামায়াত আমির বলেন, ব্রিটেনের উচ্চ আদালত তাঁদের রায়ে বলেছেন, এই মামলাগুলো ছিল বিচারের নামে ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’। বিচারকে গণহত্যা করা হয়েছে। তাঁরা ‘কিলিং অব দ্য জাস্টিস’ বলেননি। কারণ, সিঙ্গেল কেস হলে কিলিং বলতেন। এখানে ছিল একাধিক কেস। বাংলাদেশের আদালত আজ তাঁদের রায়ে বলেছেন, ‘মিসকারেজ অব দ্য জাস্টিস’। এটা নেতৃত্ব গণহত্যা ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দলকে নেতৃত্বশূন্য করা। তবে তারা (জামায়াত) প্রতিশোধ নেয়নি, তারা ন্যায়বিচার চেয়েছে।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ নিউজ

‘জুলাইয়ের পরও আমাদের রাজনীতিবিদদের কোনো পরিবর্তন হয়নি’

জুলাইয়ের পরও আমাদের রাজনীতি- বিদদের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল(অব.) আবদুল্লাহিল আমান আজমী।রোববার(২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ফেস...

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে এক চুক্তি, ৪টি স্মারক ও একটি কর্মসূচি সই

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং ঢাকা সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি,...

কাদা ছোড়াছুড়ি না করে ভালো কাজের প্রতিযোগিতার আহবান সাদিক কায়েমের

ঢাবি প্রতিনিধিডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সকল প্রার্থীকে ভালো কাজের প্রতিযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী...

ইকসু গঠনে এক প্লাটফর্মে ইবির সকল শিক্ষার্থী 

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো কুষ্টিয়ার  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। কিন্তু দীর্ঘ ৪৫ বছরেও গঠিত হয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। তবে সম্প্রতি এ নিয়ে সরব...

সম্পর্কিত নিউজ

‘জুলাইয়ের পরও আমাদের রাজনীতিবিদদের কোনো পরিবর্তন হয়নি’

জুলাইয়ের পরও আমাদের রাজনীতি- বিদদের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল(অব.) আবদুল্লাহিল...

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে এক চুক্তি, ৪টি স্মারক ও একটি কর্মসূচি সই

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং ঢাকা সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী...

কাদা ছোড়াছুড়ি না করে ভালো কাজের প্রতিযোগিতার আহবান সাদিক কায়েমের

ঢাবি প্রতিনিধিডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সকল...