শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তিনিই দ্বীপদেশটির অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দিতে পারবেন। তবে সেইসাথে এও সতর্ক করেছেন যে, শ্রীলঙ্কার স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে ১৮ মাস সময় লাগবে।
গত সপ্তাহে রাজধানী কলম্বোতে তার সরকারী বাসভবনে এক সাক্ষাত্কারে আল জাজিরাকে নবনিযুক্ত এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সাল কঠিন হতে চলেছে, তবে ২০২৪ সালের মধ্যে বিষয়গুলোর সুরাহা করা উচিত।
গত মে মাসে ষষ্ঠবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বিক্রমাসিংহে। সেসময় তিনি বলেছিলেন, এক অসাধারণ পরিস্থিতিতে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তিনি।
জ্বালানি ও বিদ্যুতের ঘাটতির জন্য গণবিক্ষোভের কথা স্মরণ করে বিক্রমাসিংহে বলেন, “আমাদের দেশ প্রায় দুই দিন সরকার ছাড়া ছিল; জিনিসগুলি নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল।” মূলত এই বিক্ষোভের জেরেই তার পূর্বসূর মাহিন্দা রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল।
বিক্রমাসিংহে তার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম পরিস্থিতি খারাপ। তবে এটা আপনার দেশ, তাই আপনি সফল হবেন কি না তা ভাবতে পারবেন না। আপনাকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং সফল হওয়ার জন্য কাজ করতে হবে’
তিনি বলেন, “আমার আত্মবিশ্বাস আছে আমি অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দিতে পারব।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে পণ্য আমদানির জন্য সরকার বৈদেশিক রিজার্ভের বাইরে চলে যাওয়ায়, সেইসাথে জ্বালানি এবং খাদ্য ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় বস্তুর তীব্র ঘাটতির কারণে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা।
গত এপ্রিল মাসে শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক ঋণখেলাপি হয়। একইসাথে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক রিজার্ভ এতটাই কম যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তার চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এটিই দেশটির সবচেয়ে নাজুক অবস্থা।