নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলায় সাবেক বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুলকে প্রধান আসামি করে হয়েছে। পাশপাশি এই মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মাঝে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন- মামলার ২নং আসামি নূর মুহাম্মদ পনেছ, ৪নং আসামি সজিব হোসেন, ৫নং আসামি আজিজুল হক রাজিব ও ৬নং আসামি হুমায়ূন কবির বুলবুলকে । তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, মো. সোহেল নামের এক ছাত্রলীগ নেতা বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি সোহেলকে মারধর, মোবাইল লুট ও ৫০ হাজার টাকা লুটের নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান,আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এই বিষয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘আমাদের কি সাহস আছে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করবো? এটা কেউ বিশ্বাস করবে? ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের উপর দোষ দিয়েছে। আমাদের নামে মামলা দেওয়ার জন্যেই এই কাজ করেছে। তার অভিযোগ, সারাদেশেই ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও করে বিএনপির নামে দোষ দেয়া হচ্ছে। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা আসামি করা হয়েছে তাদের।
এর আগে গত শুক্রবার ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. আঙ্গুর জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে বন্দর কবিলামোড়ে প্রধান সড়কের পাশে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়ে রিকশাযোগে তিনজন মুখোশধারী প্রবেশ করে। তারা কার্যালয়ে থাকা চেয়ার ভাঙ্গে ও দলীয় ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এ সংবাদে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে আসলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।