বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনো আপস করবে না বলেই জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম শেষে দেখা যাবে, কার গায়ে কত বল। কে কাকে অচল করে দেবে। নারায়ণগঞ্জের এই জনতাই যথেষ্ট বিএনপিকে অচল করে দিতে। জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্যে– ‘বিভিন্ন দেশে ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ নেই’ এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে যাচ্ছেন দেশের প্রয়োজনে জনগণের স্বার্থে। আজকের সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে। বরং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপিই ঘোরাফেরা করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তত্ত্বাবধায়কের কথা বলে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদের বিলুপ্তি, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চায় না।
কিসের ওপর ভর করে ঘোরাফেরা করছে বিএনপি? মির্জা ফখরুলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপি গণতন্ত্র জানে না, জানে স্বৈরতন্ত্র। এই বিএনপি থেকে সাবধান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে সরকারের সময় নাকি শেষ। আজরাইল নাকি শেখ হাসিনার মাথার ওপর ঘুরছে, আওয়ামী লীগের জান কবজ করতে। ফখরুল সাহেব, বিএনপির সময় শেষ। আজরাইল বিএনপি নেতাদের গলা টিপে ধরবে। কী মিথ্যাবাদী এই বিএনপি! মিথ্যাচার ও গুজব এটাই বিএনপির রাজনীতি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে ভূত হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ ভূত মাথা থেকে নামান। নতুবা এ ভূতে বিএনপি শুদ্ধ খাবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ সময় দেশের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যা দিয়েছেন ভোটের মাধ্যমে তার প্রতিদান দিন। তাকে ভোট দিলে সামনের দিনগুলোতে আরও পাবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।