বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ব্যাপক আলোচিতঅভিনেতা আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। তবে আশাহতই হতে হলো তাকে। দুটি আসনেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
রবিবার দুপুর ১টার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম তার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক যে তালিকা দাখিল করেছিলেন, সেখানে গরমিল পাওয়া গেছে।
এই প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যেভাবে ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল, একইভাবে এবারের উপনির্বাচনেও কোনো কারণ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করব। সেখানে ন্যায়বিচার না পেলে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে যাব। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বহুল আলোচিত হিরো আলম এক সময় ডিশ সংযোগের ব্যবসা ও সিডি বিক্রি করতেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মডেলিং পেশায় নিয়োজিত হন। এরপর নিজের অভিনয় ও মিউজিক ভিডিও গান রেকর্ড করে ডিশে প্রচার করতে থাকেন।
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবাদে জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হওয়ায় তিনি বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নে পরপর দুইবার সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা হিরো আলম গত ২০১৮ সালে বগুড়া-৪ আসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৩৮ ভোট পান। নির্বাচনে তিনি জামানত হারান।