বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ‘আয়নাঘর’-এর একজন ভিকটিম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই আয়নাঘর নামের টর্চার সেলে নিয়ে যাঁদের মেরে ফেলতে হয়, তাঁদের মেরে ফেলা হয়। আর যাঁদের রেখে দিতে হয়, তাঁদের টর্চার করে, বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়।
মঙ্গলবার(২৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার’ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভোলায় নুরে আলম শহীদ হয়েছেন, আবদুর রহিম শহীদ হয়েছেন। এটা গত এক যুগ ধরে চলে আসছে। আজকে আমার মনে হয়, এ দেশে গণতন্ত্র চায়—এ ধরনের কোনো মানুষই আর নিরাপদ নয়। আমাদের ছয় শতাধিক মানুষ গুম হয়ে গেছে। এমপি ইলিয়াস আলী, কমিশনার চৌধুরী আলম, লাকসামের এমপি হিরুর ৯-১০ বছর ধরে কোনো খবর নেই।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের ‘আয়নাঘর’ তথ্যচিত্র প্রকাশের প্রসঙ্গ তেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন এই সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, তারা তুলে নিয়ে যায়। দেখেছেন, নেত্র নিউজে যে খবর বেরিয়েছে, সেখানে টর্চার সেল আছে। তারা সেটির নাম দিয়েছে আয়নাঘর। অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা আট থেকে দশ বছর ‘আয়নাঘর’–এ আটক আছেন। যাঁরা সৌভাগ্যক্রমে বেরিয়ে যেতে পেরেছেন, তাঁরা অনেকে বিদেশে চলে গেছেন। সেখান থেকে তাঁরা বলছেন, এ ধরনের একটা সেলে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে বলেছেন যে “আমিও একজন সেখানকার ভিকটিম।”ওয়ান–ইলেভেনের সময় তাঁকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন রিমান্ডের নাম করে নিয়ে আসা হয়েছিল। এমন টর্চার করা হয়েছিল যে তাঁর কোমর ভেঙে গিয়েছিল।
এ অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের কথা দিতে পারি, আমরা যদি সরকারকে পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সত্যিকারের জনগণের পার্লামেন্ট আনতে পারি, তাহলে এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন; তাঁদের পরিবারকে পুনর্বাসনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।