শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে প্রতিস্থাপিত হওয়া উচিত, না হলে দেশে আসল গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপি দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো পন্থা গ্রহণ করেনি, তবে বর্তমানে আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্মের কারণে রাজনৈতিকভাবে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনাও বেড়েছে, বিশেষত গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে।”
দুদু উল্লেখ করেন, “এমন পরিস্থিতিতে, যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে, তাদের উচিত নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করা। তারা দাবি করছে, আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নিজেদের সিস্টেম পরিবর্তন করে, তবেই দেশ ও বিদেশে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা আসবে।”
তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনোই জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না, তারা সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে, যা তাদের রাজনৈতিক দুর্বলতা বাড়িয়েছে।”
শামসুজ্জামান দুদু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “যারা পাকিস্তান রক্ষা করতে চেয়েছিল, তাদেরই এখন আবার আওয়ামী লীগের ঘরানায় পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং বিপজ্জনক।”
এছাড়াও, বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সমর্থন জানান। তিনি বলেন, “এরা সন্ত্রাসী দল, যারা বাংলাদেশের জনগণের ওপর শোষণ, নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত এবং তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাতিল করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতি এখন একটি নতুন অবস্থায় প্রবেশ করেছে, যেখানে জনগণের মতামত এবং গণতান্ত্রিক মানদণ্ডই আসল সিদ্ধান্তকারী শক্তি হবে।”