চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একেবারেই বাজে পারফর্ম করে হেরেছে টাইগাররা। তবে তাদের থেকে বাজে পারফর্ম করা দলও রয়েছে, তারা হল ক্রিকেটের এক সময়ের পরাশক্তি ইংল্যান্ড। টানা পরাজয় মেনে নিয়ে সুবিধে করে দিয়েছে টাইগারদের। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ডের টানা তৃতীয় হারে বাংলাদেশের ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত হয়ে গেছে।
চলমান এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে আইসিসি থেকে জানানো হয়েছিল, ২০১৭ সালের সবশেষ আসরের তুলনায় এবার প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে শতকরা ৫৩ ভাগ। সে হিসেবে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করা দুই দল পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে। যা সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দলগুলোর তুলনায় প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার ডলার বেশি।
মাঠের খেলায় ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশ দল লাভবান হলো আর্থিকভাবে। প্রাইজমানি হিসেবে অতিরিক্ত আরো ২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার বেশি তাদের পকেটে ঢুকল। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় এক পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে এগিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে তিন ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে স্বাগতিক পাকিস্তানের উপরে ছিল বাংলাদেশ। আর গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হারে টানা তৃতীয় হার নিয়ে অষ্টম হয়েছে জস বাটলারের দল।
টানা ব্যর্থতার পরও বাংলাদেশ ষষ্ঠ হয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ করা। শনিবার করাচিতে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭ উইকেটে দুই গ্রুপ মিলিয়ে টুর্নামেন্টের আট দলের মধ্যে সবার নিচে থেকে বিদায় নিয়েছে ইংল্যান্ড। তাদের নামের পাশে কোনো পয়েন্ট নেই। এই ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে, বাংলাদেশ হতো সপ্তম। আর হারের কারণে বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে পৌঁছেছে।
আইসিসির পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণের সুবাদে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার ও সপ্তম হিসেবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার পেত টাইগাররা। অর্থাৎ তাদের মিলত মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়াত ৩ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বেশি।
আইসিসির ঘোষণা অনুযায়ী, অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের পাশাপাশি ষষ্ঠ হিসেবে আরও ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার পেয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বেশি। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আর্থিক পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রানার্সআপদের মিলবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুই দলের পকেটে যাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে।