রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১১তম জরুরি বিশেষ অধিবেশনে ‘ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা: জাতিসংঘ সনদের মূলনীতি রক্ষা’ শীর্ষক জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ।
ভোটদানের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ জানিয়েছে, ‘আমরা তা করেছি কারণ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান এবং সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির বিষয়ে জাতিসংঘের সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি অবশ্যই সর্বত্র, সবাইকে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই সর্বজনীনভাবে মেনে চলতে হবে।’
বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, ‘জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
বাংলাদেশ আরও বলেছে যে তারা বিশ্বাস করে যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে যেকোনো দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা উচিত।
ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য আরব ভূখণ্ডের অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিন্ন অবস্থান নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর বাংলাদেশ বিশেষভাবে জোর দিয়েছে।
ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ইউক্রেনের সংঘাতের ধারাবাহিকতা ও এর বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে যুদ্ধের মতো বৈরিতা বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা কোনো জাতির উপকার করতে পারে না। সংলাপ, আলোচনা ও মধ্যস্থতা হচ্ছে সংকট ও বিরোধ সমাধানের সর্বোত্তম উপায়।
বহুপাক্ষিকতার দৃঢ় বিশ্বাসী হিসেবে বাংলাদেশ বলেছে যে জাতিসংঘ ও এসজি (মহাসচিব) অফিসের পাশে থাকা অব্যাহত রাখব এবং আমরা যেভাবে পারি তাদের সমর্থন করব।
বাংলাদেশ আরও বলে, ‘আমরা আহ্বান জানাই যে সর্বস্তরের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনের জন্য জাতিসংঘ ও এসজি অফিসকে অবশ্যই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং সবার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে।’
তাই বাংলাদেশ বিরোধের সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কূটনৈতিক সংলাপ পুনরায় শুরু করার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।