এবার স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই জানালেন যুদ্ধ বন্ধের কথা! সরাসরিই জানিয়ে দিলেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি। তবে এর জন্য অবশ্য শর্তও দিয়ে রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ক্রেমলিনে এক বৈঠকে পুতিন জানান, পশ্চিমা বিশ্ব থেকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা হলে, ইউক্রেনের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি।
নিজ দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমা শক্তি ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়াকে পরাজয়ের স্বাদ দিতে চাইছে। কিন্তু এতে দমে না যাওয়ার কথা শোনালেন তিনি।
তিনি জানান, নিজ দেশের শান্তির জন্য মস্কোর নিজস্ব একটি শান্তি পরিকল্পনা আছে।
ইউক্রেনের সাথে শস্য চুক্তি নিয়েও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি জানান, এই শস্যচুক্তি তার নিজ দেশের জন্য কোন প্রকার কাজেই আসছে না। এমনকি মস্কো অতি দ্রুত এই চুক্তি থেকে সরে আসতে পারে, এমন কথাও জানিয়ে রেখেছেন তিনি।
মূলত, জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার মিত্র দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য এই চুক্তি করা হয়েছিল। তবে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, ইউক্রেন তাদের বেশিরভাগ শস্যই ইউরোপে রপ্তানি করছে। আর এসব অর্থ ইউক্রেনের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার দিনে দিনে আরও বড় করছে।
বৈঠকে রাশিয়ার উপর চালানো পালটা আক্রমণ প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন তিনি। পুতিনের দাবি, ইউক্রেন বড় আকারে পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেও, তাদের আক্রমণ এখন পর্যন্ত পুরোপুরি ব্যর্থ হচ্ছে।
দাবি করে তিনি আরো জানান, দেড় বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ রাশিয়ার চেয়ে অন্তত দশগুণ বেশি। এমনকি বিদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া সামরিক যানের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ এরইমাঝে হারিয়ে ফেলেছে কিয়েভ।