ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে প্রথম মুখোমুখি আলোচনার সময় জাতিসংঘ প্রধানের অনুরোধের প্রতিধ্বনি করে তুর্কি নেতা রিসেপ তাইপ এরদোগান বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে পারমাণবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
রুশ নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রের চারপাশে জোরদার লড়াইয়ের মধ্যে ইউক্রেন বিশ্ব নেতাদের জরুরী সতর্কতা জানিয়েছে এবং জাতিসংঘের প্রধান এরদোগানের সাথে আলোচনার সময় আন্তোানিও গুতেরেস সতর্ক করেছেন যে, প্লান্টের যে কোন ক্ষতি হলে সেটা হবে ‘আত্মহত্যার’ সমতুল্য।
এরদোগান পূর্বাঞ্চলীয় লবিব নগরীতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা আরেকটি চেরনোবিল চাই না।’ এ সময় তিনি আঙ্কারা ও কিয়েভের মধ্যে দৃঢ় বন্ধুত্বের ব্যাপারে ইউক্রেনের নেতাকে আশ্বস্ত করেন।
এরদোগান বলেন, ‘সমাধানের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে আমরা আমাদের ইউক্রেনের বন্ধুদের পাশে রয়েছি।’
ক্রেমলিনের সাথে ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে এরদোগান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। দুই সপ্তাহেরও কম আগে সোচির কৃষ্ণ সাগর রিসোর্টে রাশিয়ান নেতার সাথে তিনি বৈঠক করেছেন।
রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় বৈশ্বিক সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার পরে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিয়ে গত মাসে ইস্তাম্বুলে চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে তুর্কি নেতা মধ্যস্থতাকারীর মূল ভূমিকা পালন করেন।
জেলেনস্কির সাথে সংবাদ সম্মেলনের আগে, ইউক্রেনের বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে চুক্তির অধীনে ২৫ তম কার্গো জাহাজটি ৩৩,০০০ টন শস্য নিয়ে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।