রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করে উভয় দেশে শান্তি ফেরাতে এবার আফ্রিকার দেশগুলো মস্কো-কিয়েভের মধ্যস্থতায় উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) কিয়েভে ও শনিবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সফরে গিয়ে যুদ্ধের মধ্যস্থতা নিয়ে আলোচনা করবেন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতারা।
নেতাদের মধ্যে থাকছেন সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এবং জাম্বিয়া, কমোরোস ও মিশরের প্রধানমন্ত্রীরা।
চলমান যুদ্ধের ফলে আফ্রিকার এই দেশগুলোতে খাদ্য সংকট, মুদ্রাস্ফীতিসহ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে আফ্রিকান নেতারা দেশ দুটির মধ্যে ‘পারস্পরিক আস্থা তৈরির’ চেষ্টা করবে।
আফ্রিকান নেতারা এমন প্রেক্ষাপটে এসে মধ্যস্ততার উদ্যোগ নিয়েছেন যখন যুদ্ধের পরিস্থিতি উত্তাল। প্রস্তুতি নিয়ে রুশবিরোধী পালটা হামলায় নেমেছে ইউক্রেন। এক সপ্তাহের মধ্যে পুনরুদ্ধার করে ফেলেছে দেশটির নিয়ন্ত্রণ হারানো সাত গ্রাম, যা প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। একইসাথে আক্রমণে কিয়েভকে সহযোগিতা করতে নানা ধরনের প্রকল্প নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো, দিচ্ছে মোটা অংকের অনুদান।
ইউক্রেনের বিপরীতে রাশিয়াও কঠোর অবস্থানেই রয়েছে। যুদ্ধের পাশাপাশি নিয়মিত ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছেন রুশ সেনারা।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, পালটা হামলার ক্ষেত্রে রাশিয়ার লক্ষ্য হলো— প্রতিরক্ষা লাইনে পৌঁছানোর আগেই কিয়েভের সর্বোচ্চ ক্ষতি নিশ্চিত করা। তাদের মতে, প্রতিরক্ষা লাইন থেকে এখনো ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে আছেন কিয়েভ সেনারা।