মিচেল স্টার্কের অমন ফিফটির পর কেউই হয়ত আন্দাজ করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। সামনে ২৮২ রানের টার্গেট। তবে লর্ডসে দুই দিনে ছিল ২৮ উইকেটের পতন। তৃতীয় দিন সকালেও নাজুক ছিল অস্ট্রেলিয়া।
তবে সূর্যের উপস্থিতিতে বদলেছিল পিচের চরিত্র। আর সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে প্রোটিয়ারা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইতিহাস গড়তে চলেছে প্রোটিয়ারা। মার্করামের সেঞ্চুরি ও বাভুমার ফিফটিতে টেস্টে প্রথমবার বিশ্বসেরার মুকুট ঘরে তোলার পথে আর ৬৯ রান দূরে সাউথ আফ্রিকা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে টসে হেরে আগে ব্যাটে নামে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে থামে অজিদের ইনিংস। জবাবে নেমে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সাউথ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। ৭৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থেমেছে ২০৭ রানে। অজিদের লিড দাঁড়ায় ২৮১ রান। ২৮২ রানের লক্ষ্যে নেমে ২ উইকেটে ২১৩ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে সাউথ আফ্রিকা। মার্করাম ১০২ রানে এবং বাভুমা ৬৫ রানে চতুর্থ দিন শুরু করবেন।

তৃতীয় দিনে মধাহ্ন বিরতির কিছু সময় পর ব্যাটে নামে সাউথ আফ্রিকা। লক্ষ্যতাড়ায় নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় দলটি। দলীয় ৯ রানে ওপেনার রায়ান রিকেলটন ফিরে যান ৬ করে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মুল্ডার ও মার্করাম মিলে যোগ করেন ৬১ রান। দলীয় ৭০ রানে মুল্ডার ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫০ বলে ২৭ রান করেন প্রোটিয়া টপঅর্ডার।
এরপর টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে ১৪৩ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটি গড়ে দিনের খেলা শেষ করেন মার্করাম। ১১টি চারে ১৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেন মার্করাম। ৮৩ বলে ফিফটি করা বাভুমা দিন শেষ করেন ৬৫ রানে।
এই ম্যাচ জিতলে ২৭ বছর পর কোনো আইসিসি শিরোপা পাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের ইতিহাসে হবে দ্বিতীয় আইসিসি স্বীকৃত টুর্নামেন্ট জয়। এর আগে ১৯৯৮ সালে ঢাকায় আইসিসি নকআউট ট্রফি (বর্তমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরেই আসতে চলেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাফল্য।