পাল্লেকেলেতে আরও একটি ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। আজ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলেই সিরিজ জিতবে টাইগাররা। আর সিরিজ জিতলেই ইতিহাস গড়বে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে কুশলের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। ইতিহাস গড়তে হলে টাইগারদের টপকাতে হবে ২৮৫ রান।
এর আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে কখনো ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচ যদি জিততে পারে, তাহলে লঙ্কানদের মাটিতে এটাই হবে টাইগারদের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়।
পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। তবে ঘুরে দাঁড়াতেও বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও আসালাঙ্কার হাফ-সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৮৫ রান।
দলীয় ১৩ রানে মাদুশকার উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৬ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাতটা আনেন তানজিম হাসান সাকিব। দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম। ৩৫ রান করা ওপেনার নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে ৫৬ রানের জুটি ভেঙেছিলেন তিনি।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুশলকে সঙ্গ দিতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস। ৩১ রানের ছোট্ট এই জুটিটা ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ রান করা কামিন্দুকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন তিনি।
১০০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে আসালাঙ্কার সঙ্গে বড় জুটি গড়েন কুশল। এক পর্যায়ে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আসালাঙ্কা। আরেক প্রান্তে সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস। তার ক্যারিয়ারে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়।
আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে ১২৪ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ বলে ৫৮ রান। তারপর কুশল মেন্ডিসও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১১৪ বলে ১২৪ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান শামীম হোসেন পাটওয়ারী।
এরপর আর কোনো বড় জুটি গড়ে ওঠেনি। জেনিথ লিয়ানাগে ফেরেন ১৭ বলে ১২ রান করে। দুনিথ ভেল্লালাগে আউট হন ৬ বলে ৬ রান করে। শেষ দিকে ১৪ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আরেপ প্রান্তে ৮ বলে ১০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন চামিরা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ও মিরাজ নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শামীম, তানজিম ও তানভীর ইসলাম।