শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। মুস্তাফিজের করা ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করেন দানিয়েল। তবে পরের বলেই আউট হলেন মিড উইকেটে শামীমের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তাতেই ৮ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এই জয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার একাধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে সিরিজ জিতলেও সেটি ছিল একমাত্র ম্যাচ।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ২ বলে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
এদিনও ম্যাচের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল উইকেট। রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। তবে শেখ মেহেদি হাসান এবং জাকের আলী অনিকের দৃঢ়তায় ১৩০ পার করে বাংলাদেশ। জাকের আলী অনিক খেলেছেন ৪৮ বলে ৫৫ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
জবাবে বল হাতে দারুণ শুরু করেন বাংলাদেশের বোলাররা। ১৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে কখনোই এত কম রানে ৫ উইকেট হারায়নি দেশটি। সেখান থেকে অবশ্য তাদের ম্যাচে ফেরান আব্বাস আফ্রিদি এবং ফাহিম আশরাফ। লো-স্কোরিং ম্যাচে তাদের ৪১ রানের জুটি স্বপ্ন দেখায় পাকিস্তানকে।
আব্বাস আফ্রিদি শরিফুলের বলে আউট হলেও ব্যাট চালিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। পেয়েছিলেন ফিফটিও। ১৯তম ওভারের শেষ বলে তিনি আউট হলে ম্যাচ হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে। যার শেষটা করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।