ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী তাসনিম উর্মিকে (২৩) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী মোড় এলাকায় নিহত উর্মি চাঁদপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উর্মির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামী প্রিন্স এবং শ্বশুর হাসেম শাহকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার।
নিহত উর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার বেয়াই ফোনে জানান, উর্মি অসুস্থ; তাকে গাংনী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। কারণ জানতে চাইলে উর্মি জানালার সাথে ফাঁস দিয়েছে বলে জানানো হয়। সংবাদ পেয়ে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারি উর্মি মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশ লাশ থানা হেফাজতে নেয়।
উর্মির মৃত্যুর পর থেকে তার অভিযুক্ত স্বামী প্রিন্স আত্মগোপনে চলে যায়। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গাংনী থানা পুলিশ তাকে এবং তার বাবাকে আটক করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করেছেন উর্মির সহপাঠী ও শিক্ষকরা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উর্মির শরীরে আঘাতের আলামত রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। অভিযুক্ত প্রিন্স ও তার বাবাকে আমরা আটক করেছি। ঘটনার পর হত্যা মামলা করেছে উর্মির পরিবার। উর্মির স্বামী প্রিন্স হত্যার বিষয়ে অস্বীকার করেছে। যৌতুকের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান করছি।