স্বাধীনতার ৫১ বছরে স্বচ্ছ একটি নির্বাচনি ব্যবস্থা তৈরি করতে ক্ষমতাসীনরা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, কালো টাকার মালিক ও গডফাদারদের কাছে নির্বাচন কমিশন অসহায়। ইভিএমের নির্বাচন জনগণ বিশ্বাস করে না।এমতাবস্থায় দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।
শনিবার(৩ ডিসেম্বর) সকালে বায়তুল মোকাররম পূর্ব চত্বরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, দেশের সর্বত্রই অরাজকতা বিরাজমান। দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। দুর্নীতিবাজরা আঙুল ফুলে বটগাছ বনে যাচ্ছে। সরকারের দায়িত্বশীলদের সহায়তায় ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন এখন নখদন্তহীন কমিশনে পরিণত হয়েছে।
দেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই অভিযোগ তুলে পীরে চরমোনাই বলেন, সাধারণ মানুষ সত্য কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। বড় দুই দলের পালটাপালটি বক্তব্যে দেশের মানুষ আজ আতঙ্কিত। গ্যাস-বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ আজ দিশেহারা। দেশের মানুষের এ কষ্ট লাঘবে কেউ সাড়া দেয় না।
এ সম্মেলনে চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করিম ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর শরিফুল ইসলাম রিয়াদকে কেন্দ্রীয় সভাপতি, নূরুল বশর আজিজীকে সহ-সভাপতি ও ইউসুফ আহমাদ মানসুরকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে ঘোষণা করেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরামের সভাপতিত্বে এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ আল-আমীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য নেতারা।