প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট কারচুপি হতে পারে এর কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ তিনি পাননি। তিনি বলেন, ইভিএমে হ্যাকিং কোনোভাবে সম্ভব না। কারণ এর সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। এটা নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে।
বুধবার(২৭ জুলাই) নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দল জাকের পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এসব বলেন। এ সংলাপে জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির কর্মকর্তারা যোগ দেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন-বিধির আলোকে পরিচালিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এর বাইরে যেতে পারব না। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা চাই। সেই চাওয়াটা পূরণ করতে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। গণতন্ত্রকে অস্বীকার করার উপায় নেই। গণতন্ত্রের মাধ্যমেই স্বাধীন দেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। সেই জন্য সবাই আমাদের সহাযোগিতা করবেন। সক্রিয় সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনাদের পরিপূর্ণ সহায়তা, সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই। কারণ নির্বাচনের মাঠে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সবদলের অংশগ্রহণ দরকার। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। তখন আমাদের কাজ কমে যায়, আপনারা আপনারাই কিন্তু ভারসাম্য সৃষ্টি করেন।
সিইসি বলেন, আমার এ আবেদন থাকবে। যারা তরুণ তাদের একটু উদ্দীপ্ত করবেন। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে স্বাধীনভাবে একটা অনুকূল পরিবেশে। এটা মাঝে মধ্যে বিতর্কিত হয়ে যায়। পরিবেশটা যদি আমরা অনুকূল করতে পারি, তাহলে ভোটাররা আস্থা নিয়ে ভোট দিতে পারেন।
রাজনৈতিক দল জাকের পার্টির উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, আপনাদের বক্তব্য বিবেচনাধীন থাকবে। নির্বাচন কমিশন আইন-বিধির আলোকে পরিচালিত হবে। আমরা এর বাইরে যেতে পারব না।
‘সবার আন্তরিক সহযোগিতা, প্রয়াস থাকলে সংসদ নির্বাচনের কঠিন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারব’, যোগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।