সুপ্রিম কোর্ট যা করছে, তা রীতিমতো দ্বিমুখী আচরণ। এ ধরনের আচরণের কারণে আমাদের বিচার বিভাগের মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের গ্রেফতার অবৈধ জানিয়ে তাঁকে দ্রুত মুক্তির আদেশ দিলে আজ শুক্রবার (১২ মে) এ মন্তব্য করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
শাহবাজ শরীফ বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন সুপ্রিম কোর্ট এ রকম হস্তক্ষেপ করেননি। তবে এখন কেন করছেন?
ইমরান খানের গ্রেফতার অবৈধ মন্তব্য করে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার তাকে শিগগির মুক্তি দিতে আহ্বান জানান। এ আহ্বানের একদিন পর শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার এক বৈঠকে ওই মন্তব্য করেন শাহবাজ শরীফ।
শাহবাজ শরীফের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের ২ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ইমরান খানকে গ্রেফতার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। এনএবিকে সহায়তা করে দেশটির সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট রেঞ্জার্স।
ইমরানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে সহিংসতা শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৮ ব্যক্তি নিহত হয়। আহত হয় আরও কয়েক শত। গ্রেফতার করা হয় দেড় হাজারের বেশি।
এ অবস্থায় গ্রেফতার অবৈধ দাবি করে ইমরানের মুক্তির চেয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে যায় তার পার্টি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তাদের সব কথা শোনে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল, বিচারপতি মোহাম্মদ আলি মাজহার ও বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহর একটি যৌথ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে ইমরানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।
৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ইমরানকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন ইমরানের গ্রেফতার অবৈধ জানিয়ে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দ্বিতীয় দফায় শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে তার ২ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করা হয়।