পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিনাওয়ালির সংসদীয় আসন থেকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে মনোনয়নপত্র। দেশটির প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাকিস্তান ভিত্তিক গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের এনএ-১১২ ও নিজ শহর মিয়ানওয়ালির এনএ-৮৯ নির্বাচনী এলাকা জাতীয় নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ইমরান খান। উভয় আসনে তার মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ভিত্তি ব্যাখ্যা করে এনএ-১২২ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নিযুক্ত রিটার্নিং অফিসার বলেছেন, ‘পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।’
পাকিস্তানে ইমরান খানের ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয় মিয়ানওয়ালী। এই এলাকা থেকে তিনি আগের নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।
নির্বাচন কমিশন মুলতানের এনএ-১৫০, পিপি-২১৮ ও থারপারকারের এনএ-২১৪ থেকে পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান কুরেশির মনোনয়নপত্রও প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ ছাড়াও সাবেক ফেডারেল মন্ত্রী ও পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহারের মনোনয়নপত্র পিপি-১৭২ থেকে বাতিল করা হয়েছে। পদক্ষেপটি পিটিআইয়ের জন্য বড় ধাক্কা। দলটির হাই প্রোফাইল নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়তই মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষ করে ৯মে তারিখে দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিও কারাগারে রয়েছেন।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) মিয়া নাসিরের মাধ্যমে উত্থাপিত আপত্তির ভিত্তিতে তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে নির্বাচন করা থেকে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছিল আদালত।
উল্লেখ করা হয়েছিল, নির্বাচনী সংস্থা তাকে নির্বাচনী আইন, ২০১৭ এর ধারা ১৬৭ এর অধীনে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে।