ইসরাইলের বিমান হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ হামলায় আরও দুই পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা তাসনিম এবং তেহরান টাইমস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারাও প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, হামলার সময় মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি আইআরজিসির হেডকোয়ার্টার্সে অবস্থান করছিলেন। একই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরির মৃত্যুর গুঞ্জন উঠেছে।
সবমিলিয়ে এই হামলায় ইরানের শীর্ষ চারজন সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকর্তা নিহত। নিহতরা হলেন:
১/ জেনারেল হোসেইন সালামি – ২০১৯ সাল থেকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (IRGC)-এর প্রধান কমান্ডার।
২/ জেনারেল গোলামআলি রাশিদ – ‘খাতাম-আল-অম্বিয়া’ সদর দপ্তরের প্রধান, যা ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক কমান্ড সেন্টার।
৩/ ড. মোহাম্মদ তেহরাঞ্চি – ইরানের প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।
৪/ ফারিদুন আব্বাসি-দাভানি – ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার (AEOI) সাবেক প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য।
ই’স’রা’য়ে’লি আ’গ্রা’স’নে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, আইআরজিসির খাতাম আল-আম্বিয়া সামরিক ঘাঁটির কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ, দুই পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফেরেয়দুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইরান পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে। আর দখলদার ই’সরা’য়ে’ল জানিয়েছে, তারা হা’ম’লা সবেমাত্র শুরু করেছে।
ইসরাইল জানিয়েছে, তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা ঠেকাতে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চলে ইসরাইলের হামলা চালানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ইসরাইল এ হামলাকে ‘রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়েছে। ইরানের কমান্ডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর পালটা হামলার আশঙ্কায় সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।