ইরানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চারটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র। কেবল মৌখিক সমালোচনা নয়, বরং ইরানের পাশে সব ধরনের সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে ওই চার রাষ্ট্র।
এই চার দেশের মধ্যে আছে চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তান। চার দেশের ঘোষণাকে বিশ্লেষকরা বলছেন ‘নতুন কৌশলগত জোটের ইঙ্গিত’, যা মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
ইরানের প্রতিবেশী ও মুসলিম পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র পাকিস্তান জানায়, ইসরায়েলের হামলা ইরানের ‘সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে’। ইসলামাবাদ এটিকে জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলেও উল্লেখ করে। এরইমাঝে তারা মুসলিম বিশ্বকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই গোপন অস্ত্র ও প্রযুক্তি সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের অভিন্ন মিত্র রাশিয়া হওয়ায় পিয়ংইয়ংয়ের অবস্থান এবার তেহরানের দিকেই থাকার সম্ভাবনা বেশি। এর আগে একাধিকবার ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া।
চীনও এবার প্রকাশ্যে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত গেং শুয়াং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েল ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি অগ্রাহ্য করেছে। এটি একটি রেডলাইন অতিক্রম করেছে। চীনের হাতে থাকা পরমাণু শক্তিও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
এদিকে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া এই হামলার কড়া সমালোচনা করেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়াবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, পরমাণু অস্ত্র ও ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুতিন এরইমাঝে ট্রাম্পকে ফোন করেছেন। শনিবার (১৪ মে) তাদের মধ্যে দীর্ঘ সময়– প্রায় ৫০ মিনিট ধরে আলোচনা হয়। ওই সময় ইরানে দখলদার ইসরায়েলের চালানো হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।