পাকিস্তানের বেলুচিস্তান সীমান্তে আবারও বাড়লো উত্তেজনা। বিনা উস্কানিতে ইরানি বাহিনী গুলি চালালে চার পাকিস্তানি নিহত হন এবং দুজন আহত হয়েছেন।
ইসলামাবাদের অভিযোগ, কোনোরকম উস্কানি বা কারণ ছাড়াই একটি গাড়ি লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায় ইরানি সেনা। তাতেই মৃত্যু হয় নিরীহ বাসিন্দাদের।
অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার উমর জামালি নিশ্চিত করেছেন, ওয়াশুক জেলার পাকিস্তান-ইরান সীমান্তের কাছে গুলি চালানো হয়েছে।
বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার নাঈম উমরানি।
ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এপ্রিল মাসে তিন দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন কারণ দুই মুসলিম প্রতিবেশী এই বছর টিট-ফর-ট্যাট সামরিক হামলার পর সম্পর্ক সংশোধন করতে চায়।
রাইসির সফরকে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছে।
ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক দ্বিধাবিভক্ত।
জানুয়ারিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা ছিল।
জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের জেহাদি ডেরায় মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। পাকিস্তানের সবথেকে বড় প্রদেশ বেলুচিস্তানে জেহাদি সংগঠন জইশ আল আদলের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ইরানের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ড।
তেহরান এই হামলার পেছনে যুক্তি দেখিয়েছিলো নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালানো হয়েছে। তার দুদিনের মধ্যেই হামলার পালটা জবাব দেয় পাকিস্তানি ফৌজ। একই যুক্তি দেখিয়ে ইরানে বালোচ বিদ্রোহীদের উপর হামলা চালায় ইসলামাবাদ।
দুই দেশের ওই সংঘর্ষে দুই শিশু-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। এর পরই একে অপরের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে দুই দেশ। পাশাপাশি সমস্ত উচ্চস্তরের কূটনৈতিক বৈঠক এবং বাণিজ্য বাতিল করা হয়।