ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। জবাবে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে। দেশটির ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
মূলত ইসরায়েল ঠিক কীভাবে এই হামলার জবাব দেয়, সেটার ওপরই নির্ভর করছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের পরিণতি। এতে আঞ্চলিক সংঘাত ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ইরানের ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইসরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন বলেছে, তেল আবিব ‘সীমিত প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর পরিকল্পনা করছে, যা ইরানকে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে সুযোগ দেবে।
কেএএন আরও বলেছে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকাকে প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে রাখতে চায় এবং ইরানকে যুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্টে পরিণত করতে চায় না।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কেএএন বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো হামলা চালানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সে বিষয়ে জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে সোমবার ইসরায়েলি সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেছেন, ইসরায়েল গত সপ্তাহান্তে চালানো ইরানি হামলার জবাব দেবে। যদিও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান অবশ্য বলেছেন, ইসরায়েলের পাল্টা যে কোনও আক্রমণকে ‘শক্তিশালী’ এবং ‘বিস্তৃত’ জবাব দিয়ে মোকাবিলা করা হবে।