ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ‘ভয়াবহ পরিণামের’ হুশিয়ারি দিয়েছেন।
শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা ও বার্তা সংস্থা এএফপি।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে খামেনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এই অপরাধের মাধ্যমে (ইসরায়েলের) জায়নবাদি শাসকরা নিজেদের জন্য একটি তিক্ত ও বেদনাদায়ক নিয়তি নিশ্চিত করেছে এবং নিশ্চিতভাবেই তাদেরকে ওই পরিণাম দেওয়া হবে।’
তেহরান ও অন্যান্য শহরে ইসরায়েলি হামলার কয়েক ঘণ্টা পর খামেনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘জায়নবাদি শাসকদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে।’
খামেনি বলেন, ‘মহান ইরান জাতির উদ্দেশ্যে বলছি! জায়নবাদিরা তাদের অশুভ ও রক্তাক্ত হাত দিয়ে আমাদের প্রিয় দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে এবং আবাসিক এলাকায় আঘাত করে তাদের দুর্বিনীত চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে। তাদের উচিত কড়া জবাবের অপেক্ষায় থাকা’
এই হামলায় বেশ কয়েকজন কমান্ডার ও বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ইরানের সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় নেতা বলেন, তাদের উত্তরসূরিরা অবিলম্বে তাদের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলোকে সামনে এগিয়ে নিতে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
এর আগে, ইরানের সশস্ত্রবাহিনীও ইসরায়েলকে কড়া জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আবুল ফজল শেকারচি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই, সশস্ত্র বাহিনী জায়নবাদিদের হামলার জবাব দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলকে কড়া মূল্য চুকাতে হবে এবং তাদের উচিত ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কাছ থেকে শক্তিশালী পাল্টা জবাবের অপেক্ষায় থাকা।’
ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে আজ সকালে বড় আকারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, তেহরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে।
এই হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা। অনেক বেসামরিক মানুষ নিহতের তথ্যও জানা গেছে।
ইরানের গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বেশ কয়েকটি অবস্থানে বিস্ফোরণের তথ্য দিয়েছেন, যার মধ্যে তেহরানের মূল ইউরেনিয়াম পরিশোধনকেন্দ্রও অন্তর্ভুক্ত।
এই অভিযান বেশ কিছুদিন ধরে চলতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ইসরায়েল।