যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে আগুন দিয়েছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক সদস্য। দগ্ধ ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে এক ব্যক্তি নিজেকে আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। রোববার স্থানীয় সময় দুপুর একটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
পরে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সিক্রেট সার্ভিসের পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত করছে ওয়াশিংটন পুলিশ বিভাগও। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, লোকটি দূতাবাসের কর্মীদের পরিচিত ছিল না।
এছাড়া একটি সন্দেহভাজন গাড়ির বিষয়ে উদ্বেগ থাকায় বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল বলেও জানিয়েছে বিবিসি। পরে কোনও বিপজ্জনক উপকরণ না পাওয়ায় এটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়। দূতাবাসের একজন মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দূতাবাসের কোনও কর্মী আহত হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি কূটনৈতিক মিশনের সামনে কারও আত্মহনন বা এই ধরনের চেষ্টার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ইসরায়েলি কনস্যুলেটের সামনে এক বিক্ষোভকারী নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ওই ব্যক্তি মার্কিন বিমান বাহিনীর সদস্য। এয়ার ফোর্সের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, এই ঘটনায় তাদের একজন এয়ারম্যান জড়িত।
রয়টার্স বলছে, গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে অব্যাহত প্রতিবাদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে ইসরায়েলের দূতাবাস। গাজা যুদ্ধের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েক দফায় ফিলিস্তিনপন্থি এবং ইসরায়েলপন্থি বিক্ষোভও হয়েছে।